নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে চরম সতর্কতা জারি করা হল । জেলাস্তর থেকে পঞ্চায়েত স্তর অবধি টাস্ক ফোর্স গঠন করে শুরু হয়েছে নজরদারি । সমস্ত সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে তৈরী করা হচ্ছে । তবে যে সব বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরী হয়েছিল সেগুলোকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে তৈরী করা হবে না । এছাড়াও যে সব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ , জল এবং শৌচাগার আছে সেগুলোকেই কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে গন্য করা হবে । পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাবে । যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক বা তীর্থযাত্রী রা ভিন রাজ্য থেকে আসছেন তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে আগামী ৭ দিন সরকারী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতেই হবে । এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া । তিনি জানিয়েছেন , ভিন রাজ্য থেকে যারা আসছেন প্রথমেই তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সেখানে নাম নথিভুক্ত করার পর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে । সরকারী উদ্যোগেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট কোয়ারেন্টিন সেন্টারে । ৭ দিন থাকার পর স্বাস্থ্য কর্মীদের রিপোর্ট অনুসারে হোম কোয়ারেন্টিন এ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । জেলা স্তরে সভাধিপতি , সহ সভাধিপতি , জেলাশাসক , পুলিশ সুপার , বিধায়ক , মেন্টর , সহকারী মেন্টর , শিশু ও নারী কল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ , জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ , অতিরিক্ত জেলাশাসক ( সাধারণ ) সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকরা থাকছেন । এক ই ভাবে ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরেও টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে । নোডাল অফিসার থাকছেন দায়িত্বে । যে সমস্ত সরকারী বিদ্যালয়ে রাখা হবে সেখানে সরকারী খরচেই খাওয়া দাওয়া দেওয়া হবে । এছাড়াও বিদ্যালয়ের এই সময়কার বিদ্যুৎ বিল ও সরকারীভাবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সভাধিপতি । আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হবেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা । সেখান থেকে নতুন কোনো নির্দেশ এলে তা কার্যকর করা হবে । জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোন । প্রশাসন ও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন । করোনা মোকাবিলার জন্য পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকের দ্বারা লাগাতার প্রচার চলবে । কোন পরিযায়ী শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা তীর্থযাত্রী যাতে অহেতুক ঘোরাফেরা না করেন এলাকায় , পরীক্ষা করান অবশ্য ই , সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে সে বিষয়ে সচেতন করা হবে ।