পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই টাস্ক ফোর্স গঠন করে জেলা জুড়ে নজরদারি শুরু পূর্ব বর্ধমানে

28th May 2020 বর্ধমান
পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই টাস্ক ফোর্স গঠন করে জেলা জুড়ে নজরদারি শুরু পূর্ব বর্ধমানে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান )  : পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে চরম সতর্কতা জারি করা হল । জেলাস্তর থেকে পঞ্চায়েত স্তর অবধি টাস্ক ফোর্স গঠন করে শুরু হয়েছে নজরদারি । সমস্ত সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে তৈরী করা হচ্ছে । তবে যে সব বিদ‍্যালয়ে উচ্চ মাধ‍্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরী হয়েছিল সেগুলোকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে তৈরী করা হবে না । এছাড়াও যে সব বিদ‍্যালয়ে পর্যাপ্ত বিদ‍্যুৎ , জল এবং শৌচাগার আছে সেগুলোকেই কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে গন‍্য করা হবে । পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাবে । যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক বা তীর্থযাত্রী রা ভিন রাজ‍্য থেকে আসছেন তাদের বাধ‍্যতামূলক ভাবে আগামী ৭ দিন সরকারী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতেই হবে । এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া । তিনি জানিয়েছেন , ভিন রাজ‍্য থেকে যারা আসছেন প্রথমেই তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সেখানে নাম নথিভুক্ত করার পর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে । সরকারী উদ‍্যোগেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট কোয়ারেন্টিন সেন্টারে । ৭ দিন থাকার পর স্বাস্থ‍্য কর্মীদের রিপোর্ট অনুসারে হোম কোয়ারেন্টিন এ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । জেলা স্তরে সভাধিপতি , সহ সভাধিপতি , জেলাশাসক , পুলিশ সুপার , বিধায়ক , মেন্টর , সহকারী মেন্টর , শিশু ও নারী কল‍্যাণ দপ্তরের কর্মাধ‍্যক্ষ , জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ‍্যক্ষ , অতিরিক্ত জেলাশাসক ( সাধারণ ) সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকরা থাকছেন । এক ই ভাবে ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরেও টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে । নোডাল অফিসার থাকছেন দায়িত্বে । যে সমস্ত সরকারী বিদ‍্যালয়ে রাখা হবে সেখানে সরকারী খরচেই খাওয়া দাওয়া দেওয়া হবে । এছাড়াও বিদ‍্যালয়ের এই সময়কার বিদ‍্যুৎ বিল ও সরকারীভাবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সভাধিপতি । আগামীকাল মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হবেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা । সেখান থেকে নতুন কোনো নির্দেশ এলে তা কার্যকর করা হবে । জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা । বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোন । প্রশাসন ও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন । করোনা মোকাবিলার জন‍্য পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকের দ্বারা লাগাতার প্রচার চলবে । কোন পরিযায়ী শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা তীর্থযাত্রী যাতে অহেতুক ঘোরাফেরা না করেন এলাকায় , পরীক্ষা করান অবশ‍্য ই , সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে সে বিষয়ে সচেতন করা হবে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।